চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
৭০ এর দশকে তৈরি হয়েছিল কংসাবতী নদীর উপর বীরেন্দ্র শাসমল সেতু তথা মোহনপুর ব্রিজ। তারপর থেকে ভার বহন করে চলেছে রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি। ইতিমধ্যে সেতুটি ভার বহনের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে বারবার। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে সাময়িক ভাবে মেরামতির পর লোড টেস্টিং হয়েছে। দিন কয়েক সেতু বন্ধ থাকায় বহু মানুষ পড়েছিলেন আতান্তরে। সম্প্রতি গুঞ্জন ছড়িয়েছে দ্বিতীয় মোহনপুর ব্রিজ তৈরি হতে চলেছে এবং নির্ধারিত হয়েছে ফান্ড। কিন্তু তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। সেই ধোঁয়াশার জন্য কার্যত রাজ্য সরকারকে দায়ি করেই কটাক্ষ করেছেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
এইদিন বীরেন্দ্র সেতু পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, “যেমন ঠেকনা দিয়ে সরকার চলছে, তেমনই সেতু চলছে ঠেকনা দিয়ে!” তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন ৫০ বছরের বিকল্প সেতুর কথা ভাবা হয়নি। দিলীপ বলেন, “আমি ২০২১ সালের জুন-জুলাই মাসে মন্ত্রী গড়গড়িজির সঙ্গে দেখা করে বলি কংসাবতীর উপর বিকল্প সেতুর জন্য। পর্যালোচনার পর ৩ মাস পরে তিনি আমায় চিঠি দিয়ে জানান, জাতীয় সড়ক কেন্দ্রের অধীন, ব্রিজ রাজ্য সরকারের। তাই রাজ্য সরকারের তরফে অনুরোধ এলেই বানিয়ে দেওয়া হবে। আমি রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের সঙ্গে দেখা করে এই বিষয়ে চিঠি লেখার জন্য বলি। আজ ২ বছর হয়ে গেছে, রাজ্য সরকার কিছুই করেনি। আমি ইতিমধ্যে ফের চিঠি দিয়েছি, চিফ ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে দেখা করেছি। ৬ লেনের রাস্তার জন্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার ৮ হাজার কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। কিন্তু সেতু বিষয়টি রাজ্য সরকারের। রাজ্য সরকার না ছাড়লে কেন্দ্র কিছু করতে পারবে না।”
তিনি আরও বলেন, “এখন শুনেছি কেন্দ্রীয় সরকার টাকা মঞ্জুর করেছে। কিন্তু আমি জানি না, ব্রিজের টাকা আর রাস্তার টাকা এক নাকি আলাদা।” দিলীপ বাবুর প্রশ্ন, “আমি তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের প্রশ্ন করতে চাই, এই বিপজ্জনক সেতু ভেঙে গেলে কি হবে? মাঝে সেতু বন্ধ ছিল, সাধারণত মানুষের প্রচণ্ড কষ্ট হয়েছে দেখেছি। মেদিনীপুরে মেডিকেল কলেজ, জেলাশাসকের অফিস, আদালত, সংশোধনাগার, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে। সেতু দুর্বল হয়ে গেছে। কেন আপনারা কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেননি। সদিচ্ছা চাই। মেদিনীপুরের মানুষ কি দোষ করেছেন?” তিনি বলেন, “টাকা মঞ্জুর হলে রাজ্য সরকারকে জানাতে হবে কি হয়েছে? তারা লুকিয়ে রাখছে কেন?”