ভাঙড়ের ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থী পঞ্চায়েত ভোটে লড়তে পারবেন না। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চের রায়ের উপর আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে বিচারপতি সিনহার নির্দেশে মনোনয়ন জমা দিলেও ঐ প্রার্থীদের ভোটে লড়া হচ্ছে না।
গত ১৫ জুন ছিল রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পেশের শেষ দিন। ঐদিন কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য বিরোধীদের পুলিশ এসকর্ট দেবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও গুলিচালনা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে৷ ভাঙড়ে বিডিও অফিসের অদূরে ৩ জনের মৃত্যু হয়। এরপরেই আইএসএফ-এর তরফে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়৷ অভিযোগ জানানো হয়, হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও রাজনৈতিক বাধার কারণে ভাঙড়ে অনেক প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি৷ বিচারপতি অমৃতা সিনহা নিজের পর্যবেক্ষণে জানান, বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় গণতন্ত্রের নজির কখনই হতে পারে না। ২৮ জুনের মধ্যে ভাঙড়ে ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা নেওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেন তিনি।
এরপর উল্লিখিত প্রার্থীরা পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন জমা দিলেও তাঁদের নাম হঠাৎই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে মুছে যায়। সোমবার ফের আদালতের দ্বারস্থ হন প্রার্থীরা। বিচারপতি সিনহা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইএসএফ প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেন। কিন্তু কমিশন নির্দেশের পরেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি অভিযোগ এনে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রার্থীরা। মঙ্গলবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ একক বেঞ্চের রায়ে স্থগিতাদেশ জারি করে৷ ১৫ দিন পরে মামলাটির পরবর্তী শুনানি। কিন্তু সেই সময় পঞ্চায়েত ভোট শেষ হয়ে যাবে৷ ফলে স্বাভাবিক ভাবেই আইএসএফ প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।