চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
একসময় ঝাড়গ্রামের কৃষক শিলাদিত্য চৌধুরী হয়ে উঠেছিলেন সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম। সৌজন্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘মাওবাদী’ তকমা পেয়ে ঠাঁই হয়েছিল জেলে। এবার শালবনীর পিড়াকাটায় বাসের জানলা থেকে হাত বাড়িয়ে তাঁকে করমর্দন করতে দেখা গেল বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে। সেই সঙ্গে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপির সঙ্গে শিলাদিত্য চৌধুরীর যোগ নিয়ে শুরু হল নতুন জল্পনা।
প্রায় এক দশক আগের কথা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় সারের দাম নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন পেশায় কৃষক, ঝাড়গ্রামের শিলাদিত্য। তিনি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, “ধানের দাম কম কেন, সারের দাম বেশি কেন!” মঞ্চ থেকেই শিলাদিত্যকে মাওবাদী বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর এক আইনি অধ্যায়। গ্রেপ্তার করা শিলাদিত্য চৌধুরীকে। মাওবাদী তকমা দিয়ে পাঠানো হয় বিনপুর জেলে। শিলাদিত্যের নিজস্ব অভিজ্ঞতায় তা আতঙ্ক ও অপমানের অতীত। ইতিমধ্যে বেশ কিছু রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়েছে রাজ্যে৷ প্রধান বিরোধী দল হিসাবে উঠে এসেছ্র বিজেপি। একসময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারী দলবদল করে বিজেপিতে গিয়ে নন্দীগ্রামে হারিয়েছেন স্বয়ং মমতাকে। হয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সেই শুভেন্দু অধিকারী রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনীর ভীমপুরে বিজেপির একটি রোড শো-এ যোগ দেন। সেই সময়েই শালবনির পিড়াকাটাতে রোড শো চলাকালীন রাস্তায় বাসে বসেছিলেন শিলাদিত্য। বিরোধী দলনেতাকে দেখতে পেয়ে বাসের জানলা থেকে হাত বাড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে করমর্দন করেন তিনি। এরপরেই রাজনৈতিক মহলে উঠছে নতুন প্রশ্ন। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষিত হয়েছে। সেই সময়ে শিলাদিত্য চৌধুরী ও শুভেন্দু অধিকারী তথা বিজেপির সমীকরণ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। গুজব উঠেছে শিলাদিত্যের বিজেপিতে যোগদানের অঙ্ক নিয়েও।