রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। আদালতের তরফে তাঁকে দুইদিনের ইডি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। বিচারে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে তৃণমূল দলগত এবং সরকার হিসেবে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে বলে সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ।
শুক্রবার থেকে টানা ২৭ ঘন্টার জেরার পর শনিবার ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বর্তমান শিল্প মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নামে এক মহিলার টালিগঞ্জের অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ২১ কোটিরও বেশি নগদ অর্থ, গহনা, বৈদেশিক মুদ্রা। গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনিও। ইডির তরফে বক্তব্য, অর্পিতা পার্থবাবুর ঘনিষ্ঠ। ঘটনাপ্রবাহকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য তথা জাতীয় রাজনীতি। তারই মধ্যে সন্ধ্যায় তৃণমূলের তরফে একযোগে সাংবাদিক বৈঠক করলেন, দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তার হওয়া প্রসঙ্গে রাজনৈতিক কারন দেখছেন।
কুনাল ঘোষ জানান, “সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস আইন-আদালতের উপর পূর্ণ আস্থা রাখে। বিষয়টি এখন আদালতে গিয়েছে।” তাঁর বক্তব্য, “বিচারে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস দলগত এবং সরকারি হিসেবে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে।” তিনি আরও বলেন, “যে টাকা উদ্ধার হয়েছে, যাদের বিষয়ে ইডির তরফে ওই কথা বলা হয়েছে, তাকে মান্যতা দিয়েই সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস জানাচ্ছে, ওই টাকার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। যাঁর বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে, তিনি বা তাঁর আইনজীবীরা এর জবাব দিতে পারবেন।”
ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘‘তৃণমূল কোনও অন্যায় করে না। কোনও অন্যায় সহ্যও করে না। দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি দেবে। কিন্তু কেউ ষড়যন্ত্রের শিকার হলে তার প্রতিবাদও করবে।’’ বিজেপি কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোকে রাজনৈতিক কাজে লাগাচ্ছে বলেও অভিযোগ এনেছেন তিনি।