চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
নিম্নচাপের জেরে বিগত কয়েকদিনের ধরেই একটানা বৃষ্টি চলছে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। এক পরিস্থিতি ঝাড়খণ্ডেও। এই পরিস্থিতিতে সোমবার থেকে জল ছাড়া শুরু করেছে ডিভিসি। ফলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক এলাকায়। ইতিমধ্যেই ঘাটালের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে ঘাটালের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি ও পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার।
ঘাটাল পৌরসভার ৩ নম্বর, ৭ নম্বর এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ড সহ, মনশুকা ১নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতে শিলাবতী নদী ও ঝুমি নদীর জল ঢুকতে শুরু করেছে। জলে ডুবে গিয়েছে বেশ কিছু রাস্তা। ছাত্র-ছাত্রীদের এবং এলাকার সাধারণ মানুষজনদের জল পেরিয়েই যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন। এইদিন জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি ও পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার সহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিকেরা ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘাটালে আসেন। ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ঘাটালের মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে বৈঠক করেন প্রশাসনিক কর্তারা। সেই সঙ্গে জলমগ্ন এলাকাগুলিতে গিয়ে এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন এবং ঐসব এলাকায় ত্রাণ বিলিও করা হয়।
জেলাশাসক জানিয়েছেন, “ঘাটালের পরিস্থিতি নজরে রাখা হচ্ছে। কয়েকদিনের বৃষ্টি ও ডিভিসির ছাড়া জলের কারণে বন্যার আশঙ্কা বাড়ছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন। জেলার ১৭টি বন্যাকেন্দ্র কার্যকর ও প্রায় ৮০০ ত্রাণ শিবির চিহ্নিত করা হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে। মহকুমা ও ব্লকস্তরে তা পাঠানো হয়েছে।” তিনি আরও জানান, “স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে পর্যাপ্ত অ্যান্টি ভেনম মজুত আছে। এই নিয়ে সিএমওএইচ ও ডেপুটি সিএমওএইচ-এর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স, ভলেন্টিয়ার, উদ্ধারকারী বাহিনী উপস্থিত রয়েছে।” বন্যায় প্রাণহানি রুখতে জেলা প্রশাসন তৎপর বলে জানিয়েছেন তিনি।